স্পোর্টস্ নাগরিক বার্তা : বিপিএলের ফাইনালে শুক্রবার মিরপুরে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৯ রান তুলেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
তামিমের একার ব্যাট থেকেই এসেছে ৬১ বলে ১৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস। কুমিল্লার অন্য সব ব্যাটসম্যান মিলে করেছেন ৫৯ বলে ৪৭! অতিরিক্তি থেকে এসেছে বাকি ১১ রান।
ইনিংসটির পথে তামিম ওলটপালট করে দিয়েছেন রেকর্ড বই। ৫০ বলে ছুঁয়েছেন সেঞ্চুরি, বিপিএলে তো বটেই, টি-টোয়েন্টিতেই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের দ্রুততম সেঞ্চুরি।
বিপিএলে এটি তামিমের প্রথম সেঞ্চুরি। বিপিএলের ফাইনালে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম সেঞ্চুরি।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বড় ইনিংসও এটি। ছাড়িয়েছেন এখানে নিজেকেই। ২০১৩ সালে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টিতে ইউসিবি-বিসিবি একাদশের হয়ে করেছিলেন ১৩০ রান। বিপিএলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ছিল সাব্বির রহমানের ১২২।
ইনিংসটির পথে ১০টি চারের পাশে ১১টি ছক্কা মেরেছেন তামিম। সাব্বিরের ৯ ছক্কা ছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের আগের রেকর্ড।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কুমিল্লা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হারিয়েছিল এভিন লুইসকে। তামিম বরাবরের মতোই শুরুতে সময় নিয়েছেন কিছুটা। আরেকপাশে এনামুল হকও এগিয়েছেন ধীরগতিতে।
থিতু হওয়ার পর তামিম খেলতে থাকেন একের পর এক শট। আরেকপাশের ব্যাটসম্যান তখন কেবল দর্শক।
দ্বিতীয় উইকেটে ৮৯ রানের জুটিতে এনামুলের রান ছিল ৩০ বলে ২৪। চতুর্থ উইকেটে ১০০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ইমরুলের রান ২১ বলে ১৭। গোটা ইনিংস ছিল যেন তামিম-শো।
সাকিবের ১০ বলে ৩০ রান নিয়েছেন তামিম, রাসেলের ১৫ বলে ৩২। এবারের আসমরে অন্যতম সেরা বোলার রুবেলের ১৩ বলে নিয়েছেন ৩৭ রান!
এ দিন যা চেয়েছেন, সবই যেন করতে পেরেছেন তামিম। এমনকি ব্যাটের কানায় লাগা বলগুলিও গুলির বেগে ছুটেছে বাউন্ডারিতে।
শেষ পর্যন্ত যেখানে পৌঁছে দিয়েছেন দলকে, সেটি ছাড়াতে হলে ঢাকাকে করতে হবে দারুণ কিছু।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ২০ ওভারে ১৯৯/৩ (তামিম ১৪১*, লুইস ৬, এনামুল ২৪, শামসুর ০, ইমরুল ১৭*; রাসেল ৪-০-৩৭-০, রুবেল ৪-০-৪৮-১, সাকিব ৪-০-৪৫-১, নারাইন ৪-০-১৮-০, অনিক ২-০-১৯-০, শুভাগত ১-০-১৪-০, মাহমুদুল ১-০-১২-০)।
এমরহ/